ইন্টারভিউ
বস, "আমরা কাউকে চাকরি দেওয়ার ক্ষেত্রে মাত্র দুইটা রুল ফলো করি।"
সান্টা সিং, "কি কি স্যার?"
বস, "আমাদের দ্বিতীয় রুল হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। আপনি কি এখানে আসার আগে রুমের বাইরে রাখা ম্যাট এ জুতোর তলা মুছে এসেছেন?"
সান্টা সিং, “হ্যাঁ স্যার, হ্যাঁ স্যার!”
বস, "আমাদের প্রথম রুল হলো বিশ্বাসযোগ্যতা এবং আপনার অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে বাইরে কোন ম্যাট ছিলোই না! কাজেই আপনাকে বিশ্বাস করা যাচ্ছে না। আর চাকরীর ব্যাপারটাও ভুলে যান!"
বাপের রাস্তা
তা দেখে খুবই ভয়ে ভয়ে একটা শেয়াল তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, "মহারাজ, আপনি এই অবেলায়, রোদের মধ্যে, মাঝরাস্তায় শুয়ে আছেন যে?"
সিংহ কাতরভাবে বললো, "আরে সাধে কি শুয়ে আছি? গুলি লেগেছে উঠতে পারছি না।"
এটা শুনেই শেয়াল জোর গলায় বললো, "তাই বলে তোর বাবার রাস্তা মনে করে শুয়ে থাকবি নাকি? রাস্তা থেকে সরে গিয়ে মর!"
নকলিফাই
পরীক্ষায় নকল করে অনেক লোক সফল হয়েছেন। কিন্তু এর উলটোটার উদাহরণও প্রচুর।
পরীক্ষায় প্রশ্ন এলো - শাহজাহান সম্বন্ধে দু-লাইনে লেখো।
ক্লাসের ফার্স্টবয় লিখলো, "যুদ্ধে হারিয়া শাহজাহান ভাঙ্গিয়া পড়িতেন না।"
তার ঠিক পেছনে বসে পচাদা লিখলো, "যুদ্ধে হারিয়া শাহজাহান জাঙ্গিয়া পড়িতেন না।"
লেখা পড়া
এক ছাত্রী তার প্রাইভেট টিউটরকে বললো, "স্যার, আপনি কি এই পাঁচ বছরে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে একবারও বুঝতে পারেন নি যে আমার চোখদুটোতে কি লেখা আছে?"
স্যার বললেন, "পাঁচ বছরে এখনো তোমার হাতের লেখাই ঠিকমত বুঝতে পারিনা ... আর চোখ!"
প্রতিবেশীর কুকুর
প্রতিবেশীর কুকুরটার চিৎকারে বিরক্ত এক দম্পতি। এক মাঝরাতে বিছানা থেকে উঠেই গেলেন বাড়ির কর্তা। যেতে যেতে বললেন, "অনেক হয়েছে। আজ এর একটা বিহিত করতেই হবে।"
এই বলেই হনহন করে বেরিয়ে গেলেন তিনি।
কিছুক্ষণ পর ফিরলেন।
স্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন, "কি বিহিত করে এলে, শুনি?"
কর্তা বললেন, "কুকুরটাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে এসেছি। এবার বুঝুক, প্রতিবেশীর কুকুরের চিৎকার কেমন লাগে!"
বেয়াদব প্রতিবেশী
ইন্সপেক্টর, "কেন? কী করেছে সে?"
ভদ্রমহিলা, "আমি যখনই তার বাড়িতে উঁকি দিই, দেখি সে-ও উঁকি দিয়ে আছে!"
ভারতে বরফ সবচেয়ে বেশী কোথায় পড়ে?
এক ইংরেজ ভারতে বেড়াতে এসে সান্টা সিংকে জিজ্ঞেস করলো, "ভারতে সবচেয়ে বেশী বরফ কোথায় পড়ে?"
সান্টা সিং বললো, "সাহেব, রাত আটটার আগে কাশ্মীরে। আর রাত আটটার পর হুইস্কির গ্লাসের মধ্যে।"
ঋষি কাশ্যপ ও এক পাকিস্তানি
কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের তরফ থেকে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার দাবী জানানো হয়।
এর ঠিক পরেই ভারতীয় প্রতিনিধি তার বক্তব্য রাখতে উঠে দাঁড়ান। তিনি বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, "অন্য কোনও কিছু বলার আগে, আমি আপনাদেরকে ঋষি কাশ্যপ সম্বন্ধে জানাতে চাই, যার নাম থেকেই কাশ্মীরের নামকরণ হয়েছে বলে মনে করা হয়। অনেকদিন আগের ঘটনা এটা। ঋষি কাশ্যপ কাশ্মীর বলে আজকাল যে এলাকা পরিচিত, সেই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। ঘুরতে ঘুরতে, একটা জায়গায় এক পাথরের ওপরে তিনি তাঁর লাঠি দিয়ে মারায় ফোয়ারার মতন জল বেরিয়ে আসে। ঋষি কাশ্যপ এই দেখে ভাবলেন যে এতো সুন্দর জলে একটু স্নান করে নেওয়া যাক। যেমন ভাবনা, তেমনি কাজ। কাশ্যপ জামা-কাপড় খুলে রেখে স্নান করতে লাগলেন। স্নান শেষ করে কাপড় পরতে গিয়ে দেখেন কাপড়চোপড় পুরো ভ্যানিশ। একটা পাকিস্তানি এক ফাঁকে কাশ্যপের কাপড়গুলো চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে!"
এই শুনেই পাকিস্তানের প্রতিনিধি লাফিয়ে উঠে বললেন, "কি যাতা বলছেন! তখন পাকিস্তানই ছিলো না, তো পাকিস্তানি কোত্থেকে আসবে?"
ভারতীয় প্রতিনিধি মুচকি হেসে বললেন, "যাহোক, আমরা যখন বুঝতেই পারছি যে ব্যাপারটা কি, তখন আমি এবার বাকি বক্তৃতাটা শেষ করি!"
আর পাকিস্তানিরা "কাশ্মীর হামারা হ্যায়" বলে থাকে! :Pবান্টার ব্যথা
বান্টা সিং ডাক্তারের কাছে গিয়ে বললো, "বাঁচাও ডাক্তার! অসহ্য ব্যথা করছে। যেখানেই ধরি না কেনো, সেটাই মনে হচ্ছে ভেঙ্গে টুকরো হয়ে যাচ্ছে!"
ডাক্তার একটু অবাক হয়ে বললেন, "কি বলছো হে!"
সান্টা বললো, "এই দেখুন, আমি কাঁধে ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে অসহ্য ব্যথা করছে। এই দেখুন হাঁটুতে ধরলাম - আউচ!! তারপর দেখুন কপালে হাত দিলাম, ওফ কি ব্যথা!"
ডাক্তার একটা দীর্ঘঃশ্বাস ফেলে বললেন, "সান্টা সিং, অসুখটা আমি ধরতে পেরেছি। তোমার আঙ্গুলটা ভেঙ্গে গেছে!"
1 comments:
নতুন নতুন কবিতা পেতে ভিজিট করতে পারেন আমার সাইটে
www.valobasargolpo2.xyz
Post a Comment