ভারতে বরফ সবচেয়ে বেশী কোথায় পড়ে?
এক ইংরেজ ভারতে বেড়াতে এসে সান্টা সিংকে জিজ্ঞেস করলো, "ভারতে সবচেয়ে বেশী বরফ কোথায় পড়ে?"
সান্টা সিং বললো, "সাহেব, রাত আটটার আগে কাশ্মীরে। আর রাত আটটার পর হুইস্কির গ্লাসের মধ্যে।"
ছাত্রজীবনের সবথেকে মজার মুহূর্ত
একজন ছাত্রের জীবনের সবচেয়ে মজার মুহূর্তটা কখন আসে?
যখন পরীক্ষায় সে বসে আছে, একটাও প্রশ্নের উত্তর জানেনা, আর পেছন দিক থেকে টিচার এসে বলছেন, "এই তুমি, খাতাটা ঢেকে রাখো। পেছনের ছেলেটা তোমার খাতা থেকে নকল করছে!"ঋষি কাশ্যপ ও এক পাকিস্তানি
কয়েকদিন আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘে পাকিস্তানের তরফ থেকে কাশ্মীর নিয়ে আলোচনার দাবী জানানো হয়।
এর ঠিক পরেই ভারতীয় প্রতিনিধি তার বক্তব্য রাখতে উঠে দাঁড়ান। তিনি বক্তব্যের শুরুতেই বলেন, "অন্য কোনও কিছু বলার আগে, আমি আপনাদেরকে ঋষি কাশ্যপ সম্বন্ধে জানাতে চাই, যার নাম থেকেই কাশ্মীরের নামকরণ হয়েছে বলে মনে করা হয়। অনেকদিন আগের ঘটনা এটা। ঋষি কাশ্যপ কাশ্মীর বলে আজকাল যে এলাকা পরিচিত, সেই এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। ঘুরতে ঘুরতে, একটা জায়গায় এক পাথরের ওপরে তিনি তাঁর লাঠি দিয়ে মারায় ফোয়ারার মতন জল বেরিয়ে আসে। ঋষি কাশ্যপ এই দেখে ভাবলেন যে এতো সুন্দর জলে একটু স্নান করে নেওয়া যাক। যেমন ভাবনা, তেমনি কাজ। কাশ্যপ জামা-কাপড় খুলে রেখে স্নান করতে লাগলেন। স্নান শেষ করে কাপড় পরতে গিয়ে দেখেন কাপড়চোপড় পুরো ভ্যানিশ। একটা পাকিস্তানি এক ফাঁকে কাশ্যপের কাপড়গুলো চুরি করে নিয়ে পালিয়েছে!"
এই শুনেই পাকিস্তানের প্রতিনিধি লাফিয়ে উঠে বললেন, "কি যাতা বলছেন! তখন পাকিস্তানই ছিলো না, তো পাকিস্তানি কোত্থেকে আসবে?"
ভারতীয় প্রতিনিধি মুচকি হেসে বললেন, "যাহোক, আমরা যখন বুঝতেই পারছি যে ব্যাপারটা কি, তখন আমি এবার বাকি বক্তৃতাটা শেষ করি!"
আর পাকিস্তানিরা "কাশ্মীর হামারা হ্যায়" বলে থাকে! :Pবান্টার ব্যথা
বান্টা সিং ডাক্তারের কাছে গিয়ে বললো, "বাঁচাও ডাক্তার! অসহ্য ব্যথা করছে। যেখানেই ধরি না কেনো, সেটাই মনে হচ্ছে ভেঙ্গে টুকরো হয়ে যাচ্ছে!"
ডাক্তার একটু অবাক হয়ে বললেন, "কি বলছো হে!"
সান্টা বললো, "এই দেখুন, আমি কাঁধে ছোঁয়ার সঙ্গে সঙ্গে অসহ্য ব্যথা করছে। এই দেখুন হাঁটুতে ধরলাম - আউচ!! তারপর দেখুন কপালে হাত দিলাম, ওফ কি ব্যথা!"
ডাক্তার একটা দীর্ঘঃশ্বাস ফেলে বললেন, "সান্টা সিং, অসুখটা আমি ধরতে পেরেছি। তোমার আঙ্গুলটা ভেঙ্গে গেছে!"
গরু আকাশে ওড়ে না!
সরদার সান্টা সিং বিকেলবেলা মর্ণিংওয়াক করতে বেরিয়েছিলো। পাড়ার মোড়ে দাঁড়িয়ে সান্টা আকাশ দেখছে, এমন সময় একটা পায়রা ঠিক সান্টার মুখের ওপর পটি করে বেরিয়ে গেলো।
সান্টা কোমরে হাত দিয়ে ওপরের দিকে তাকিয়ে বললো, "ভাগ্যিস, গরুগুলো আকাশে ওড়ে না!"
পচাদা আর ডেন্টিস্ট
পচাদা ডাক্তারের কাছে গেছিলো তার আক্কেল দাঁতটা ওঠানোর জন্য।
কিন্তু কেসটা একটু গুবলেট হয়ে গেলো যখন ডাক্তার পচাদার হাত-পা ধরে অনুরোধ করতে শুরু করলেন।
দাঁতের ডাক্তারবাবু পচাদাকে বললেন, "পচাদা, এবারকার মতন বাঁচিয়ে দাও না! কিচ্ছু না, ব্যাস গলা দিয়ে দু-তিনবার তোমার সবচেয়ে খতরনাক আর্তনাদটা বার করে দিও!"
পচাদা বললো, "কেনো রে ভাই?"
ডাক্তারবাবু বললেন, "এত্তো লোক ওয়েটিং এরিয়াতে বসে আছে। কিন্তু আমি কোনমতেই আই পি এল-এর ফাইন্যাল ম্যাচ না দেখে ছাড়ছি না!
ট্র্যাকসুটে গাধা
সান্টা সিং কে একটা গাধা হঠাৎ করে একটা লাথি কষিয়ে ছুটে পালালো!
সান্টাও সাথে সাথে "ও তেরিকা" বলে গাধাটাকে ধরতে পেছন-পেছন ছুটলো!
একটু দূরে গিয়েই সান্টা একটা জেব্রাকে দেখতে পেয়ে সেটাকেই পাকড়াও করলো।
এবার ঐ জেব্রাকে বেদম মার দেওয়া শুরু করে সান্টা বললো, "শাল্লা! ট্র্যাকস্যুট পরে আমাকে ধোঁকা দিবি বলে ভেবেছিলি?"
লুট লিয়া
সক্কাল-সক্কাল পাড়াতে হেবভি হইচই!
পাড়ার পার্মানেন্ট ভিখিরী দুখিয়া ফুটপাথে বসে কান্নাকাটি করছে, আর তার সেকেণ্ড ইন কম্যান্ড সুদর্শন তাকে শান্ত করার চেষ্টা করেই যাচ্ছে।
আমি এগিয়ে গিয়ে ব্যাপারটা বোঝার চেষ্টা করলাম।
দুখিয়া দেখি কপাল চাপড়াচ্ছে আর বলছে, "কি সর্বনাশ, আমার মাথায় তো আকাশ ভেঙ্গে পড়লো রে! কেউ শালা আমার সাইকেলটা চুরি করে নিয়ে গেছে আর ওর মোটরসাইকেলটা আমার জন্য ছেড়ে গেছে।"
সুদর্শনও দেখি একই রেটে মাথা চাপড়াচ্ছে আর বলছে, "আরে ভাই, তুই তো একদম বরবাদ হয়ে গেলি রে! এই বাইকটা তো শালা পেট্রলে চলে!"
সৌভাগ্য না দুর্ভাগ্য
পচাদার বন্ধু গৌতমদা ছবি আঁকে। পচাদা কাল বিকেলে পাড়ার আড্ডায় এসে এক হট নিউজ দিলো।
গৌতমদা গতকাল পচাদাকে নিয়ে যে গ্যালারিতে তার ছবির প্রদর্শনী হচ্ছে সেখানে গিয়েছিলো।
তা গৌতমদা গ্যালারির মালিককে জিজ্ঞেস করলো, "কি দাদা, কোনও ভালো খবর আছে কি?"
দাদা বললেন, "আরে গৌতম, তোমার জন্য ভালো আর খারাপ দুটো খবরই আছে! কোনটা আগে দেবো?"
গৌতমদা বললো, "দুটোই বলুন!"
মালিক ভদ্রলোক বললেন, "ভালো খবরটা হলো যে একজন লোক তোমার আঁকা সবকটা ছবি কিনে নিয়েছে।"
গৌতমদা এই না শুনে আহ্লাদে আটখানা হয়ে বললো, "তাই?! তা খারাপ খবরটা কি?"
মালিক, "সেই লোকটা না, তোমার ছবিগুলো কেনার আগে আমাকে জিজ্ঞেস করছিলো যে তুমি মারা গেলে ঐসব ছবির দাম বাড়বে কি না। আমি হ্যাঁ বলার পরই ও ছবিগুলো কিনলো। আর সবচেয়ে বাজে ব্যাপারটা হলো যে ঐ লোকটা তোমারই ডাক্তার!"
গাধা ডাকাত
একটা সম্পূর্ণ সত্যি ঘটনা।
আমেরিকার মেরিল্যাণ্ডে একজন ডাকাত একটা ব্যাঙ্কে ঢুকে ক্যাশিয়ারকে একটা চিরকুট দিয়ে বললো, "মামা, চিরকুটে যেরকম লেখা আছে, ঠিক সেরকমই করো!"
ক্যাশিয়ার ডাকাতের দেওয়া ব্যাগ টাকা দিয়ে পুরো ভর্তি করে দিলো, আর ডাকাতও মহানন্দে টাকা-পয়সা নিয়ে বাড়ি চলে গেলো। কিন্তু বাড়ি ফিরেই ডাকাত দেখলো যে ওর বাড়ি পুলিশ পুরো ঘিরে রেখেছে।
ব্যাপারটা হলো, যে ডাকাতবাবু যে কাগজে নিজের দাবী লিখেছিলো সেটা তারই ব্যাঙ্কের ডিপোজিট স্লিপ!
0 comments:
Post a Comment