Bangla Funny Jokes : Some Bangla Mojar Hasir Golpo






বিমানে পচাদা

পচাদা এরোপ্লেনে করে বোম্বে যাবে। সকাল-সকাল উঠে একটা ট্যাক্সি ডাকিয়ে পচাদা এয়ারপোর্টে গেলো। ওমা! একটু পরেই দেখি পচাদা ব্যাজার মুখে বাড়ি এসে উপস্থিত।
তাড়াতাড়ি গিয়ে জিজ্ঞেস করলাম, "কিগো পচাদা, প্লেন ক্যানসেল বুঝি? তুমি ফিরে এলে যে?"
পচাদা করুণভাবে বললো, "মাইরি, অতো ঝামেলা জানলে প্লেনে চড়তামই না রে ভাই। প্লেনে ওঠার পর একজন বিমানবালা আমাদেরকে বোঝাতে লাগলো যে প্লেন এ্যাকসিডেন্ট হলে কি কি করতে হবে। আমার তো এ্যাকসিডেন্টের নাম শুনেই ভয়ে হাত-পা পেটে সেঁধিয়ে গেছে! সবশেষে বলে কি না, প্লেন যদি কোন নদী বা সাগরে ক্র্যাশ করে, তাহলে সিটের তলার কুশনটাকে নাকি নৌকোর মতন ব্যবহার করতে পারবো।"
পচাদা একটু দম নিয়ে বললো, "এই শুনেই না আমার মাথাটা চড়ে গেলো। রেগেমেগে আমি জিজ্ঞেসই করে বসলাম যে প্লেনটাই যদি উড়তে না পারে, তো সিটটা যে জলে ভাসবে তার গ্যারান্টি কোথায়? ব্যস, শুরু হয়ে গেলো তুমুল বাওয়াল! তারপর আমাকে প্লেন থেকে নামিয়ে দিলো। যাঃ, যাবোই না প্লেনে। রেলগাড়িতে চেপেই বোম্বে যাবো।"
 

ব্যাডলাকই খারাপ

যখন ব্যাডলাকটাই খারাপ হয়, তখন কোনও কিছুই ঠিকঠাক হয় না!
পরেশবাবু একটা বারের টেবিলে পেপসির বোতল সামনে রেখে উদাস হয়ে বসেছিলেন।
হঠাৎ করে ওখানে ওর এক বন্ধু এলো। পেপসিটা দেখে, এক চুমুকে সেটা শেষ করে বললো, "কি রে পরেশ! এতো উদাসভাবে বসে আছিস কেনো?"
পরেশ হতাশভাবে বললো, "সকালবেলা বউ এর সাথে প্রচণ্ড ঝগড়া হয়ে গেছে। তারপর ব্রেকফাস্ট না করেই অফিসের জন্য বেরিয়ে পড়লাম। এমন কপাল, শালা, রাস্তায় গাড়িটা নষ্ট হয়ে গেলো। অফিসে পৌঁছতে লেট হয়ে গেলো। ওদিকে আজকে আবার খুব জরুরী ক্লায়েন্ট মিটিং ছিলো। লেটে পৌঁছানোয় বস রেগেমেগে এমন সব কথা বললো, যে চাকরীটাই ছেড়ে দিলাম। ...
আর এখন, (হতাশভাবে ফোঁস ফোঁস করে কয়েকটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে) সুইসাইড করবো বলে পেপসিতে বিষ মিশিয়ে খাবো ভাবছিলাম, সেটাও শালা তুই খেয়ে ফেললি!"
 

পাগলা গারদ থেকে পলায়ন

বিখ্যাত বংশানুক্রমে পাগল দাশু পাগলা গারদে ফোন করলো।
রিসেপসনিস্ট মহিলা ফোন ধরে বললেন, "হ্যাঁ, বলুন?"
দাশু বললো, "ম্যাডাম, একটু কষ্ট করে সাতাশ (২৭) নম্বর রুমে গিয়ে দেখে আসবেন যে ওখানে কে আছে?"
রিসেপসনিস্ট, "একটু ধরুন স্যার। আমি গিয়ে দেখে আসছি।"
ভদ্রমহিলা ফিরে এসে বললেন, "না স্যার, ঐ রুমে তো কেউই নেই।"
এই শুনে দাশু খুবই আনন্দিত হয়ে বললো, "আঃ, শান্তি হলো। রুমে যখন কেউ নেই, তার মানে আমি সত্যিই পালাতে পেরেছি।"
 

রজনীকান্তের মহিমা অপার

একবার জয়ললিতার সাথে রজনীকান্ত বসে গল্প করছিলেন। কথাচ্ছলে রজনী জয়ললিতাকে বললেন, "আশা করি তুমি এটা জানো যে যেকোন বিখ্যাত লোকের সাথেই আমার পরিচয় আছে। যেকোন লোকের নাম বলো, সে আমাকে চিনবেই!"
রজনীর কথা শুনে জয়ললিতা বললেন, "অনেক হয়েছে রজনী। টম ক্রুজের ব্যাপারে কি বলবে?"
রজনীকান্ত, "টম আর আমি অনেকদিনের বন্ধু। আমি এটার প্রমাণও দিতে পারি।"
এরপর রজনীকান্ত আর জয়ললিতা হলিউডে গেলেন আর টম ক্রুজের বাড়ির দরজায় নক করলেন। ভেতর থেকে টম ক্রুজ বেরিয়ে এসে, রজনীকে দেখেই বললেন, "থালাইভার! কি আশ্চর্য! হঠাৎ এখানে এসেছো, তোমাকে দেখে কি যে ভালো লাগছে! তুমি আর তোমার বন্ধু আজকে এখানেই লাঞ্চ করবে!"
যদিও জয়ললিতা যথেষ্ট অবাক হলেন, কিন্তু তবুও পুরো সন্দেহমুক্ত হতে পারলেন না।
তাই আবার রজনীকে বললেন, "ঠিক আছে। মানলাম যে তুমি টম ক্রুজকে চেনো। এটা বাই চান্সও হতে পারে। বারাক ওবামার সম্বন্ধে কি বলবে?"
রজনী, একটু হেসে, "আরে, আমি ওকেও খুব ভালোভাবে চিনি। চলো, আমরা ওয়াশিংটন যাই।"
দুজনে এবার ওয়াশিংটনের প্লেনে চড়ে বসলেন। হোয়াইট হাউসে গিয়ে অন্যদের সাথে এই দুজনও গাইডের সাথে ট্যুরে ঢুকে পড়লেন।
হঠাৎ ওবামা ভিড়ের মধ্যেও রজনীকান্তকে দেখতে পেয়ে গেলেন। সাথে সাথে ওবামা রজনীকে ডেকে বললেন, "হাই রজনী! অনেকদিন পর তোমার সাথে দেখা। আমি আসলে একটা মিটিংয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু তুমি যখন এখানে এসেছো, তখন আগে চলো তোমাদের সাথে এক কাপ কফি খেয়ে একটু আড্ডা মেরে নেই।"
এবার জয়ললিতা বেশ একটু টেন্সড হয়ে গেলেন। তবুও পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারছিলেন না।
তাই আবার রজনীকে বললেন, "তুমি কি পোপকে চেনো?"
রজনীকান্ত হেসে বললেন, "এখনো তোমার সন্দেহ যায় নি? ঠিক আছে। চলো আমরা ভ্যাটিকানে যাই।"
ভ্যাটিকানে গিয়ে দুজনেই অন্য সব দর্শনার্থীদের সঙ্গে সামনের খোলা মাঠে দাঁড়িয়ে পোপের জন্য অপেক্ষা করছেন, এমন সময় রজনীকান্ত জয়ললিতাকে বললেন, "এভাবে হবে না। এখানে দাঁড়ালে পোপ আমাকে দেখতেই পাবে না। আমি এখানকার সব রক্ষীকেই চিনি। তুমি এখানেই দাঁড়াও। আমি ভেতরে গিয়ে পোপের সাথে একসাথে ব্যালকনিতে আসবো।"
সত্যিই, আধঘন্টা পর ব্যালকনিতে পোপের সাথে রজনীকান্ত ব্যালকনিতে এসে দাঁড়ালেন।
আরো কিছুক্ষণ পর রজনীকান্ত যখন বেরিয়ে জয়ললিতার কাছে ফেরত এলেন, ততক্ষণে জয়ললিতা মাথা ঘুরে পড়ে গেছেন।
রজনীকান্ত জয়ললিতাকে জিজ্ঞেস করলেন, "আরে কি হলো? তুমি হঠাৎ কিভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লে?"
জয়ললিতা বললেন, "আরে, তুমি যখন পোপের সাথে ব্যালকনিতে বেরিয়ে এলে, ঠিক তখনই আমার পাশের লোকটা বললো, 'আরে রজনীকান্তের পাশে ব্যালকনিতে ঐ লোকটা কে?"
 
 

ইউপিএ-র পুরো নাম

গজাদের স্কুলের সোশ্যাল স্টাডিস টিচার গজাকে জিজ্ঞেস করলেন, "বলো তো গজা, ইউপিএ-র পুরো নাম কি?"
গজাও খুব স্মার্টলি বললো, "আণ্ডার প্রেসার এলায়েন্স, স্যার।"
 

হিসেব করা কাকে বলে

একজন এ্যাকচুয়ারি (মানে যারা ইন্স্যুরেন্স পলিসি বানায়) এবং একজন চাষী ট্রেনে করে দিল্লী যাচ্ছিলো। ট্রেনটা একটা বিশাল মাঠের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় মাঠে অনেকগুলো ভেড়া চরতে দেখে এ্যাকচুয়ারি বললো, "এই দেখো, ওখানে ১২৪৮ টা ভেড়া আছে।"
এটা শুনে চাষী অবাক হয়ে বললো, "অসাধারণ! এই ভেড়াগুলোর মালিককে আমি চিনি, তাই বলতে পারছি যে তোমার কথা একশ শতাংশ সত্য! কিন্তু, একটা কথা বলোতো, এত তাড়াতাড়ি তুমি কোন পদ্ধতিতে এতগুলো ভেড়াগুলোকে গুনতে পারলে?"
এ্যাকচুয়ারি বললো, "আরে, এটা তো খুবই সহজ। আমি শুধু ভেড়াগুলোর পা গুনেছি, আর তারপর মোট যোগফলকে চার দিয়ে ভাগ করে দিয়েছি!"
 

১৬ জন মেয়েকে বিয়ে করা উচিত

মিঃ বিন তার এক বন্ধুর সাথে গলফ খেলছিলেন।
হঠাৎ বন্ধু ভদ্রলোক মিঃ বিনকে জিজ্ঞেস করলেন, "তোমার কি মনে হয়, একজন ছেলের ক'জন মেয়ের সাথে বিয়ে করা উচিত?"
মিঃ বিন, মাথা-টাথা চুলকে অনেকক্ষণ ভেবে বললেন, "ষোলো (১৬)!"
বন্ধু খুবই আশ্চর্য্য হয়ে জিজ্ঞেস করলেন, "সে কি, কেন?"
মিঃ বিন একগাল হেসে বললেন, "কেনো, দেখোনি চার্চের পাদরি কি বলেন? চারজন ধনী (for richer), চারজন গরীব (for poorer), চারজন ভালো (for better) এবং চারজন খারাপ (for worse)।"
 
 

সান্টা সিং এম বি বি এস

সান্টা সিং এর বাবার খুব ইচ্ছা ছিলো যে তার ছেলে ডাক্তার হবে। তাই হায়ার সেকেণ্ডারির পর সান্টা সিং বাবার ইচ্ছা পূরণের জন্য মেডিকাল এন্ট্রান্সে বসে পড়লো। আমাদের ভাগ্য ভালো যে সান্টা এন্ট্রান্সে পাশ করতে পারেনি! কিন্তু কেনো, সেটা আপনার জানেন কি?
অত্যন্ত গোপন সূত্রে আমাদের কাছে সান্টা সিং এর মেডিকাল এন্ট্রান্সের খাতাটা এসেছে। সান্টার দেওয়া উত্তরগুলো নীচে তুলে দিলাম।
এন্টিবডি (Antibody) - যে সবার বিরুদ্ধে।
আর্টারি (Artery) - পেইন্টিং, অর্থাৎ আর্ট সম্বন্ধে পড়াশুনা।
ব্যাক্টেরিয়া (Bacteria) - ক্যাফেটেরিয়ার ব্যাকডোর অর্থাৎ পেছনের দরজা।
সিজারিয়ান সেকশন (Caesarean section) - সিজারের দেশ রোমের একটি অংশ।
কার্ডিওলজি (Cardilogy) - পোকার খেলা শেখার ওপর এ্যাডভান্সড ট্রেনিং।
ক্যাটস্ক্যান (Cat scan) - ক্যাট, মানে বেড়ালকে খুঁজে বের করা।
ক্রনিক (Chronic) - কাকের (ক্রো) ঘাড় (নেক)।
কোমা (Coma) - যতিচিহ্ণ।
কর্টিজন (Cortisone) - কোর্টের আশপাশের এলাকা।
সিস্ট (Cyst) - সিস্টারকে ছোট করে ডাকা।
ডায়াগনসিস (Diagnosis) - যে লোকের নাক (নোজ) ব্যাঁকা।
ডায়ালেট (Dilate) - লেট প্রিন্সেস ডায়ানা।
ডিসলোকেশন (Dislocation) - এই জায়গা।
ডুয়োডেনাম (Duodenum) - ডেনিম জিনস পরিহিত দুজন।
 

যমালয়ে ক্লিন্টন

ভূতপূর্ব প্রেসিডেন্ট ক্লিন্টন মারা যাওয়ার পর যমালয়ের দরজায় এসে দাড়ালেন। গেট বন্ধ দেখে তিনি জোরে কয়েকবার নক করলেন।
ভেতর থেকে আওয়াজ ভেসে এলো, "কে ওখানে?"
ক্লিন্টন বললেন, "আমি, বিল ক্লিন্টন!"
একজন বুড়ো মতন লোক, চোখে চশমা, এককানে গোঁজা পেনসিল আর আরেককানে আধপোড়া একটা বিড়ি, হাতে একটা মোটাসোটা খাতা নিয়ে দরজাটা খুলে বেরিয়ে এলেন। বললেন, "আচ্ছা, বিল। তা তুমি পৃথিবীতে কি কি খারাপ কাজ করেছো বলোতো।"
ক্লিন্টন একটু সময় চিন্তা করে বললেন, "দেখুন, আমি যখন ছাত্র ছিলাম, তখন গাঁজা-টাজা খেয়েছি, কিন্তু সেটাকে আপনি খুব একটা দোষ হিসেবে ধরতে পারবেন না, কারন আমি ধোঁয়াটা পুরো গিলিনি। আমি মিথ্যে কথাও বলেছি, কিন্তু আমি কখনও শপথ নিয়ে মিথ্যা কথা বলিনি।"
বুড়ো লোকটা, মানে মিঃ সি. গুপ্ত (আজকাল চিত্রগুপ্তও আধুনিক হয়েছেন) বেশ কিছুক্ষণ ভেবে বললেন, "ঠিক আছে। তা শোনো বাবা, আমি তোমাকে একটা প্রচণ্ড গরম জায়গায় পাঠাচ্ছি, কিন্তু ওটাকে আমি নরক বলবো না। সেখানে তুমি অনির্দিষ্টকাল থাকবে, কিন্তু আমরা ওটাকে অনন্ত সময় বলবো না। আর ওখানে পৌঁছে, সেখানকার অবস্থা দেখে আশা হারিয়ে ফেলো না, শুধু কখন সবকিছু পালটে যায় সেইজন্য অপেক্ষা করে বসে থেকো না।" :)
 
 
 
 
 
 
 
 
 
 






0 comments: