অবশেষে বসলাম,
প্রেয়সীর শানে শব্দ নিয়ে নাচব বলে।
হঠাত দরোজায় কড়াঘাত।
রোগা, কালো, নোংরা এক শিশু বল্লল,
'ভাইয়া, দুটো ভিক্ষা দেননা।'
'যা ভাগ!
অসময়ে যন্ত্রনা!!'
দারোয়ানরা যে কি করে ... যত্তসব!!!
ফের ছুটে গেলাম কবিতার কাছে
প্রিয়তমা প্রিয়ার জন্য কবিতা।
আবার করাঘাত...
এবার বিবেকের দরোজায়
'তুমি তাড়িয়ে দিলে, ক্ষুধার্ত শিশুটিকে?'
শুধাল বিবেক আমায়
'ভালোবাসার বুলি আউড়াচ্ছ
অথচ বাড়িয়ে দিতে পারলেনা
একটু সহমর্মিতা, এক ফোটা ভালোবাসা?
কিইবা হতো, প্রিয়ার জন্য বরাদ্দ
ভালোবাসার অসীম ভান্ডার হতে এক ফোটো তাকে দিলে?'
'যা ভাগ!
চানস পাইলেই উপদেশ ... যত্তসব!!!'
সবে লিখলাম,
"তোমার সৌরভিত হাসি......"
টাক, টাক, টাক...
আবার দরোজায় করাঘাত।
'আমি তোমার কবিতা
.......
ধিক্কার তোমাকে, কবি
যে প্রেয়সীর হাসি চাপিয়ে শুনতে পায়না
পৃথিবী জুড়ে শিশুদের
ভয়ার্ত আর্তনাদ,
বেদনার হাহাকার,
ক্ষুধার্ত রাহাজানি।।
ধিক্কার। ধিক্কার।। ধিক্কার।।।
তুমি থাক তোমার প্রেয়সিকে নিয়ে।
আমি যাচ্ছি
তাদের জন্য
সুন্দর, শান্তিময়, ক্ষুধামুক্ত
পৃথিবীর সন্ধানে...'
Collected..
0 comments:
Post a Comment